স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুরে সরকারী রাস্তা থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করলেও দখলকারীরা তিন দিনের মধ্যে আবারও সেই রাস্তা দখল করে এবার টিনদিয়ে ঘিরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ ১৩ মে সোমবার ভোর রাতেই দখলকারীরা এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়।
গ্রামবাসীরা জানান, গত ৯ মে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফ শাওন শ্যামকুড় ইউনিয়নের টাঙ্গাইল পাড়া গ্রামের একটি সরকারী রাস্তা হতে অবৈধ্য দখলদারদের নির্মিত টিনশেডের বসতঘর, গোয়ালঘর ও বাশঝাড়উচ্ছেদ করেন।
এ সময় শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিরুলহক,উপ-সহকারী ভূমিকর্মকর্তা জুলফিকার আলী, ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মনিরুলহক সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া দত্তনগর পুলিশ ফাড়ীর এস আই আশিক এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।
উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে আসার তিন দিনের মধ্যে শাহাজান আলী,শরিফুল ইসলাম সোমবার ভোর রাতে রাস্তাটি আবারও দখল করে নিয়ে টিনের বেড়াদিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এই রাস্তা দিয়েই মহেশপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধির বাড়ী প্রবেশ করতে হয়।
এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ ও সহকারী কমিশনার(ভূমি)শরিফ শাওনকে অবহিত করেছেন। এ ব্যাপারে মহেশপুরের ইনকিলাব প্রতিনিধি আবুল হোসেন লিটন জানান, ১৯৮০ সালের পূর্বে টাঙ্গাইলপাড়া গ্রামটি বর্তমান স্থানে ছিল না। ১৯৯৮সালে সেটেলমেন্ট জরিপের সময় গ্রামবাসীর আবেদনের পেক্ষিতে শ্যামকুড়ের তৎকালিন তহশীলদার ৩০ ধারা মতে ১৪টি ডিপি খতিয়ানের বিরুদ্ধে আপত্তি মামলা দায়ের করেন। বদর আমিন তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে এক সপ্তাহের শুনানী শেষে টাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে ২টি রাস্তা তৈরিররায় দেওয়া হয়। বর্তমানে সেই স্থানে ১২২ফুট লম্বা ছোট রাস্তাটি দখলদাররা নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা করছেন।
শ্যামকুড় ইউনিয়ন পনিষদের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল পাড়ার বাসীর একটি রাস্তা থেকে দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। কিন্তু দখলদারদের উচ্ছেদের মাত্র তিনদিনের মাথায় তারা রাস্তাটি আবার দখল করে নিয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) শরীফ শাওন জানান, সরকারী রাস্তা কেউ জোর করে দখলে রাখতে পারবেনা। উচ্ছেদের পর যারা রাস্তাটি দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply